মিজানুর রহমান,কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি,চিলাহাটি ওয়েব : শৈশব আর কৈশোর মানে হরেক রকমের খেলায় মেতে থাকা। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের প্রতিটি বেড়ে ওঠা সোনালি শৈশব যেন কতদিন আগেই হারিয়ে গিয়ে মরতে বসেছে। শুধু চর্চার অভাবে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাধুলা। গ্রামীণ কৃষ্টি ও লোকজ ক্রীড়াঙ্গনের জনপ্রিয় এ খেলাগুলো পুনরুদ্ধারে নেই কোনো উদ্যোগ। আর সে কারণেই শিশু-কিশোররা ঝুঁকছে মোবাইল, ভিডিও গেম, জুয়া কিংবা মাদকের দিকে। এক সময় কিশোরগঞ্জে হাডুডু, গোল্লাছুট, কানামাছি, কাংগুলি,বৌচি, ভুরকাভাত, কুতকুত, দাড়িয়াবান্ধা, ইচিং বিচিং, এলাটিং বেলাটিং, রুমাল চুরি, লাঠিখেলা লুকোচুরি ও পাতা খেলা বেশ জনপ্রিয় ছিল। গ্রামীণ জনপদে মাঠ কিংবা ফসল কাটা শেষে ফাঁকা জমিতে শিশু-কিশোররা এসব খেলাধুলায় মেতে উঠতো। কিন্তু আজকাল এসব খেলার আয়োজন করা হয় না। খেলাগুলোর নামওমজানে না এ প্রজন্মের অধিকাংশ শিশু- কিশোর। সেসব খেলার স্থান দখল করে নিয়েছে ক্রিকেট-ফুটবল, হ্যান্ডবল, হকি সহ নানা আধুনিক খেলাধুলা। উপজেলার সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক ও সংগঠক সি এস এম তপন জানান, প্রাচীন হলেও কোমলমতি শিশু-কিশোরদের কাছে এসব খেলা অনেকটাই নতুন। বাংলার গ্রামীণ খেলাধুলা রক্ষায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ক্রীড়া সংগঠন গুলোকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। এ জন্য নিয়মিত খেলাগুলোর আয়োজন করতে হবে । কিশোরগঞ্জ মডেল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম আযম বলেন, বিলুপ্ত ও লুপ্ত প্রায় ঐতিহ্যবাহী এসব খেলা পুনরুদ্ধারে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।