অলিউর রহমান মেরাজ, নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি, চিলাহাটি ওয়েব :
দূর থেকে দেখে মনে হবে এ যেনো জমিতে পানি সেচের জন্য তৈরি করা শ্যালো মেশির
কিংবা গভীর নলক’পের ঘর। তবে কাছে গিয়ে দেখা যায় সেই ছোট ঘরে এক ব্যতিক্রম
পরিবারের বসবাস।
নিজের জায়গা-জমি কিছু না থাকায় স্থানীয় এক ব্যক্তির গভীর
নলক’পের ঘরের পাশে খড়কুটো দিয়ে তৈরি করা ছোট ঘরে বসবাস করে হাসিনা ও তার
পরিবারের সদস্যরা।
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাদুরিয়া ইউনিয়নের শাল্টিমুরাদপুর এলাকায়।
ডিজিটাল যুগেও এ যেনো এক মানবেতর জীবন যাপন। খোলা মাঠ চারিপাশে শুধু ফসলের জমি
আর জমি । সেখানেই একটি গভীর নলকুপের সাথেই খড়কুটো দিয়ে ছোট্ট একটি ঘর তৈরি করে
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে হাসিনা বেগম নামের এক নারী। সেই ঘরে থাকে স্বামী
ও অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক সন্তান । সেখানে নেই রাস্তাঘাট ,নেই পানির ব্যবস্থা
নেই কোন বিদুৎ ব্যবস্থা।
হাসিনা বেগমের সাথে সাথে কথা বলে যানা যায় ,আমার স্বামী একজন দিনমুজুর। দিন
আনি দিন খাই। নিজের জায়গা জমি কিছুই নেই,নেই কোন বাড়ি ঘর। নিধুয়া পাতারে একটা
ছোট ঘরে থাকি।
সাপ-পোকামাকড়ের ভয় অন্যদিকে রাস্তাঘাট কিছু নেই পানি হলে ঘর
থেকে বের হতে পারি না। খাবার পানি আনতে যেতে হয় অনেকদুর রাতের বেলা অন্ধকারে
থাকতে হয়,অনেক কষ্ট করে আছি। ছেলে ও স্বামীকে নিয়ে অনেক কষ্টে থাকি। সরকারের
কাছে অনুরোধ আমাকে একটু জায়গাসহ নিরাপদ একটি থাকার ব্যবস্থা করে দিলে আমি
উপকৃত হবো।
ভাদুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসমান জামিল জানান,আমার কাছে তো তারা আসেনি।
আর
আমি জানি না। আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম,তাদেরকে আমার কাছে আসতে বলেন। তাদের
যদি ঘর না থাকে তাহলে প্রধানমন্ত্রী যে প্রকল্প রয়েছে সেখানে উপজলো প্রশাসনের
সাথে কথা বলে ঘরের ব্যবস্থা করা হবে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুন নাহার বলেন,আমি এ বিষয়ে জানি না। তবে
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যানে মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহন করা
হবে।