আপেল বসুনীয়া,চিলাহাটি ওয়েব : বাংলাদেশ-ভারতের পঞ্চম রেল যোগাযোগ হিসাবে অচিরেই চালু হচ্ছে চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রেলপথ। এই রেলপথটি চালু হলেই বাংলাদেশের সাথে ভারত,নেপাল ও ভুটানে রেলযোগাযোগ স্থাপন হবে। তেমনী এটি হবে দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ও লাভ জনক রেলপথ।
ডোমার উপজেলার চিলাহাটি রেলষ্টেশন হতে ভারতের সীমানা পর্যন্ত ৬.৭২৪ কিঃ মিঃ মধ্যে ২.৮৫০ কিঃ মিঃ রেল লাইন পাতানোর কাজ শুক্রবার পর্যন্ত শেষ করেছে মর্মে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স জানান। এই কাজের সাথে দুইটি লেভেল ক্রসিং গেট, ষ্টেশন সংলগ্ন তিনটি নতুন লুফ লাইন স্থাপন, অত্যাধুনিক প্লাটফ্রম,এ্যাপ্রোচ রোড, দ্বিতলা রেস্ট হাউজ,কাষ্টম, চেকপোষ্ট, রেল স্টেশনকে আন্তর্জাতিক মানে রূপান্তরসহ অন্যান্য কাজ দ্রুত গতিত্বে এগিয়ে চলছে।
চিলাহাটি-হলদীবাড়ি ইন্টারচেঞ্জ লিংক চালু হলেই বন্ধু প্রতিম দেশের মধ্যে উন্নয়নের দুয়ার খুলে যাবে,লাভবান হবে উভয় দেশ, বদলে যাবে উভয় এলাকার আর্থ সামাজিক চেহারা।
১৯৪৭ সালের ১৫ আগষ্ট ভারত ভাগের পরও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সময় চিলাহাটি-হলদিবাড়ির মধ্যে এই ইন্টারচেঞ্জ চালু ছিল। সে সময় চিলাহাটি ও হলদিবাড়ী স্টেশনের উজ্জ্বল ইতিহাস স্মরণ করে এখনও গর্ববোধ করেন এলাকার বাসিন্দারা।
১৯৬৫ সাল পর্যন্ত হলদিবাড়ীর সঙ্গে তদানীন্তর পাকিস্তানের রেল যোগাযোগ চালু ছিল। ১৯৪৭ সালের ভারতের স্বাধীনতার আগে হলদিবাড়ী-চিলাহাটি দিয়ে সরাসরি কলকাতার রেল যোগাযোগ চালু ছিল।। ১৯৬৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধের পর রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
রেলযোগাযোগের ক্ষেত্রে হলদিবাড়ী ও চিলাহাটি রেলষ্টেশন দুটি পুরোদমে চালু রয়েছে। চিলাহাটি থেকে ঢাকা,খুলনা,রাজশাহী ও অপর দিকে হলদিবাড়ী হতে ভারতের বিভিন্ন রুটে নিয়মিত ট্রেন চলাচল করছে। শুধু মাত্র সীমান্ত এলাকা বাংলদেশের চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ীর মধ্যে ট্রেন চলাচল থমকে রয়েছে। যা চালুর পথে কাজ দূতগতিত্বে এগিয়ে চলছে।