মাজহারুল ইসলাম লিটন,ডিমলা প্রতিনিধি,চিলাহাটি ওয়েব : উজানের পাহাড়ী ঢল ও ভারী বর্ষনের ফলে তিস্তার পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপড় দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জনপ্রনিধিদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী পানিবন্দি হয়ে পড়েছে উপজেলার ৫ইউনিয়নের ২হাজার ৯৪০টি পরিবার। বন্যায় ভাঙ্গনের কারনে বসতবাড়ীসহ চরের বাদাম ক্ষেত ও বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
শুক্রবার সকালে তিস্তার পানি বিপদসীমার(৫২দশমিক ৭৮সেন্টিমিটার)উপড় দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যা বিপদসীমার ১৮সেন্টিমিটার উপড়ে থাকলেও। শুক্রবার রাত থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে শনিবার বিকেল পয্যন্ত বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার) ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া বিভাগের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, শুক্রবার বিকেল পয্যন্ত তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপড় দিয়ে প্রবাহিত হলেও রাত ১২টার পর উজানের ঢলে ও ভারি বৃষ্টি পাতের কারনে তা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপড় দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এবং শনিবার ৮৭.০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

পনি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যার কারনে গবাদি পশু ও পালিত হাস মুরগি উচু জায়গায় সড়িয়ে নেয়া হয়েছে।
ডালিয়া (পাউবো) ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম চিলাহাটি ওয়েবকে বলেন, উজানের ঢলে ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারনে শনিবার বিকেল পয্যন্ত তিস্তার পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপড় দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে এবং আমরা সব সময় সতর্কবস্থায় রয়েছি।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় বলেন, তিস্তা নদীর বন্যাকবলিত এলাকা স্বরেজমিনে পরিদর্শন করে শুক্রবার উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের পানিবন্দি ২২টি পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার ও নগদ ২ হাজার করে টাকা বিতরন করা হয়েছে। বাকি পরিবার গুলির জন্য জেলায় ত্রানের চাহিদাপত্র প্রেরন করা হয়েছে।