আকাশ রহমান, বদরগঞ্জ প্রতিনিধি,চিলাহাটি ওয়েব :
রংপুরের বদরগঞ্জে দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে যমুনেশ্বরী নদীতে অব্যাহত কীটনাশক প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এতে করে নদীর বিস্তর এলাকা জুড়ে সকল প্রকার মাছ, ব্যাঙ, সাপসহ অন্যান্য জলজ প্রাণির অস্তিত্ব বিপন্ন হতে চলেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে নদীতে কীটনাশক প্রয়োগের মাধ্যমে জলজ প্রাণি নিধন করা হলেও এখন পর্যন্ত বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরে পড়েনি।
গতকাল শনিবার সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, চলতি শুকè মৌসুমে উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনেশ্বরী নদীর পানি প্রায় সত্তর ভাগ শুকিয়ে গেছে। যার ফলে সকল প্রকার জলজ প্রাণি পঁচিশ ভাগ গভীর (কুড়ায়) জলাশয়ে আশ্রয় নিয়ে জীবন ধারন করছে। এই সুযোগে এলাকার কতিপয় দুস্কৃতকারীরা বোয়াল মাছ পাওার আশায় সপ্তাহব্যাপী অরুন্নেছা ঘাট এলাকার জলাশয়ে কীটনাশক প্রয়োগ অব্যাহত রেখেছে। কীটনাশক প্রয়োগ করায় সকল প্রকার জলজ প্রাণি নিধন হওয়ার সাথে সাথে প্রাণিকুলের অস্তিত্ব বিপন্ন হতে চলেছে। এ বিষয়ে ওই এলাকার অরুন্নেছা বাজারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, মাস খানেক পুর্বে একটি কুড়া (গভীর জলাশয়) থেকে জেলেদের জালে ৮কেজি ওজনের ৩-৪টি বোয়াল মাছ ধরা পড়ায় দুস্কুতকারীরা তার লোভে অব্যাহত বিষ প্রয়োগ করে চলেছে। এই বিষ প্রয়োগের কারণে পানিতে থাকা মাছ, ব্যাঙ, সাপসহ সকল জলজ প্রাণি মারা যাচ্ছে। এ সময় আব্দুল মজিদ (৫৫) নামে একজন জেলে অভিযোগ করে বলেন, সকাল বেলা নদীতে মাছ ধরতে এসেছিলাম। জাল ফেলানোর পর দেখতে পেলাম পানির উপর ছোট ছোট মাছের পোনা, ব্যাঙ মরে গিয়ে ভেসে বেড়াচ্ছে। পরে জানতে পারলাম এই অঞ্চলের কতিপয় লোকজন নদীতে বিষ দিয়ে সব মাছ মেরে ফেলছে। তিনি আরো বলেন, যারা নদীতে বিষ দিয়ে মাছ নিধন করছে আমরা তাদের শাস্তি চাই।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতিয়ার রহমান দুলু বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমি খোঁজখবর নিয়ে দেখছি কারা এই জঘন্যতম কাজটি করেছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চেয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রবিউল আলম পারভেজ বলেন, অচিরেই কীটনাশক প্রয়োগকাকীদের তালিকা করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।